কঠিন পদার্থের ব্যান্ড তত্ত্ব। Band theoey of solid.

কঠিন পদার্থের ব্যান্ড তত্ত্ব -


 ব্যান্ড তত্ত:

যার সাহায্যে কোন পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ব্যাখ্যা করা যায় তাকে ব্যান্ড তত্ত্ব বলা হয়। 
এ তথ্যের সাহায্যে সহজে কেলাস, সেমিকন্ডাক্টর, ডায়োড, ট্রানজিস্টর ইত্যাদি তড়িৎ পরিবাহিতা ও কার্যপ্রণালী
ব্যাখ্যা করা যায়।

শক্তি ব্যান্ড-
শক্তি ব্যান্ড হচ্ছে একই কক্ষপথে অবস্থিত সকল ইলেকট্রনের শক্তির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মানের মধ্যবর্তী পাল্লাকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

কঠিন পদার্থের অনেকগুলো শক্তি ব্যান্ড থাকে যার মধ্যে তিনটি হচ্ছে প্রধান।
১. যোজন ব্যান্ড
২. পরিবহন ব্যান্ড এবং
৩. নিষিদ্ধ ব্যান্ড।

যোজন ব্যান্ড
পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথে অবস্থিত ইলেকট্রনকে যোজন ইলেকট্রন বলে। যোজন ইলেকট্রন গুলোর শক্তির পাল্লা বা ব্যান্ডকে যোজন ব্যান্ড বলে।
সাধারণত যোজন ব্যান্ড পূর্ণ বা আংশিক পূর্ণ থাকে। আংশিক পূর্ণ অর্জন ব্যান্ড কিছু সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে।
পরিবহন ব্যান্ড
পরমাণুতে অবস্থিত মুক্ত যোজন ইলেকট্রন তড়িৎ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে বলে এদেরকে পরিবহন ইলেকট্রন বলে। পরিবহন ইলেকট্রন গুলোর শক্তির পাল্লা বা ব্যান্ডকে পরিবহন ব্যান্ড বলে।

ধাতব পদার্থে ইলেকট্রন গুলো নিউক্লিয়াসের সাথে শিথিল ভাবে যুক্ত থাকে ফলে এই ইলেকট্রন গুলো সহজে মুক্ত হয়ে যেতে পারে বিধায় এগুলোকে মুক্ত ইলেকট্রন বলা হয় এবং এরা তড়িৎ পরিবহন করে থাকে।
পরিবহন ব্যান্ডের সকল ইলেকট্রন হচ্ছে মূলত মুক্ত ইলেকট্রন। যাদের পরিবহন ব্যান্ড ফাঁকা থাকে তারা তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না। এদেরকে অন্তরক বলে। বলতে গেলে অন্তরকে পরিবহন ব্যান্ড ফাঁকা থাকে আর যোজন ব্যান্ডে আংশিক পূর্ণ থাকে।

নিষিদ্ধ ব্যান্ড
মূলত যোজন ব্যান্ড এবং পরিবহন ব্যান্ডের মধ্যবর্তী অঞ্চলকে নিষিদ্ধ ব্যান্ড বলে।
এটাকে ব্যান্ড গ্যাপও হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে কোন ইলেকট্রন থাকতে পারে না। এ অঞ্চলের ব্যবধান যত বেশি হবে যোজন ইলেকট্রন গুলো পরমাণুতে তত দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকবে।

কঠিন পদার্থের ব্র্যান্ড তত্ত্ব। Band theoey of solid.







আরো পড়ুন: ট্রানজিস্টর ?


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url