সেমিকন্ডাক্টর কি? এর প্রকারভেদ| semiconductor and it's types। P টাইপ ও n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী।

সেমিকন্ডাক্টর কি? এর প্রকারভেদ| semiconductor and it's types। P টাইপ ও n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী


সেমিকন্ডাক্টর:

 যে সকল পদার্থের পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহী এর মাঝামাঝি এবং এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ কমে যায় অর্থাৎ পরিবাহিতা বাড়ে এবং কিছু অপদ্রব্য যোগ করলে যাদের পরিবাহী ধর্ম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।

অর্ধপরিবাহী পদার্থের ব্যান্ডগ্যাপ Eg এর মান খুব কম হয়, এটা প্রায় 1ev এর মত। এক্ষেত্রে পরিবহন ব্যান্ড কিছুটা পূর্ণ থাকে। কিন্তু ব্যান্ড গ্যাপ Eg এর মান খুব কম হলেও অতি নিম্ন তাপমাত্রায় পরিবহন ব্যান্ড সম্পূর্ণ খালি থাকে। এ সময় অর্ধপরিবাহী সমর্পণ পরিবাহী পদার্থের নেয় আচরণ করে কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে যোজন ব্যান্ডের কিছু ইলেকট্রন পরিবহন ব্যান্ডে যায় বলে কক্ষ তাপমাত্রায় অর্পধপরিবাহি কিছুটা তড়িৎ পরিবহন করে।

অর্ধপরিবাহী পরমাণুর মধ্যে সর্ববৃস্থ কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা ৮ টির পরিবর্তে এর অর্ধেক চারটি থাকে অর্ধপরিবাহীর আপেক্ষিক রোধ (10⁻⁵ - 10⁻⁸)Ωm। জার্মেনিয়াম(Ge), সিলিকন(si) বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহী।

অর্ধপরিবাহী পদার্থকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়-

১. বিশুদ্ধ বা সহজাত বা অন্তর্জাত বা  অর্ধপরিবাহী ইনট্রিন্সিক

২. অবিশুদ্ধ বা বহির্জাত বা এক্সট্রেন্সিক অর্ধপরিবাহী।

 ১.বিশুদ্ধ বা সহজাত বা অন্তর্জাত বা অর্ধপরিবাহী ইনট্রিন্সিক-

যেসব অর্পধরিবাহীতে কোন অপদ্রব্য থাকে না তাদেরকে বিশুদ্ধ বা সহজাত অর্ধপরিবাহী বলে। এখানে পরিবহন ব্যান্ডের ইলেকট্রন সংখ্যা এবং যোজন ব্যান্ডের হোল সংখ্যা সমান থাকে। এরা পর্যায় সারণির ১৪ গ্রুপের সদস্য।যেমন Ge ও Si তবে C এদের ব্যতিক্রম। 

২. অবিশুদ্ধ বা বহির্জাত বা এক্সট্রেন্সিক অর্ধপরিবাহী

বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহির সাথে সামান্য পরিমাণে অপদ্রব্য মিশালে যে অর্ধপরিবাহী সৃষ্টি হয় তাকে অবিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহী বলে।

পরিবাহিতা বৃদ্ধির জন্য বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে অপদ্রব্য মেশানোকে ডোপায়ন বা ডোপিং বলে। 

ডোপায়নের জন্য দুই ধরনের অপদ্রব্য ব্যবহার করা হয় -

১. পর্যায় সারণির তৃতীয় সারির মৌল যেমন: B, Al,Ga,In.

২. পর্যায় সারণির পঞ্চম শ্রেণীর মৌল যেমন: P,As,sb,Bi.

এক্সট্রেন্সিক অর্ধপরিবাহী দুই ধরনের -

• p(positive ) টাইপ

• n(negative ) টাইপ

P টাইপ অর্ধপরিবাহী:

যেকোন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে ( Ge ও Si) এর সাথে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল মেশানো হলে, তাকে p টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে। এখানে হোলের সংখ্যা বেশি আর ইলেকট্রন সংখ্যা কম। সবচেয়ে প্রচলিত ভেজাল গ্যালিয়াম ও ইন্ডিয়াম।

সেমিকন্ডাক্টর কি? এর প্রকারভেদ| semiconductor and it's types। P টাইপ ও n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী।



n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর:

কোন বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে অপদ্রব্য হিসেবে পঞ্চযোজী মৌল মেশানো হলে, তাকে n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

এখানে ইলেকট্রন সংখ্যা বেশি আর হোল সংখ্যা কম হয়। সবচেয়ে প্রচলিত ভেজাল হচ্ছে আর্সেনিক ও এন্টিমনি।

সেমিকন্ডাক্টর কি? এর প্রকারভেদ| semiconductor and it's types। P টাইপ ও n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী।



আরো পড়ুন: আলোক রশ্মি কী? What's light 

আরো পড়ুন: pn জাংশন এবং এর প্রকারভেদ।








Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url