pn জাংশন এবং এর গঠন প্রক্রিয়া।
pn জাংশন এবং এর গঠন প্রক্রিয়া-
pn জাংশন কী
যখন একটি p type সেমিকন্ডাক্টর একটি n type সেমিকন্ডাক্টর এর সাথে ভালোভাবে যুক্ত থাকে তখন এদের সংযোগ তলকে pn জাংশন বলে।
একটি pn জাংশনের দুটি তড়িৎদ্বার থাকে। তাই একে pn জাংশন ডায়োডো বলা হয়। মজার কথা হলো pn জাংশন তৈরীর ক্ষেত্রে একটি p টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের সাথে আরেকটি n টাইপ সেমিকন্ডাক্টরকে ঝালাইয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা যায় না। কেননা এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদার্থের ক্রিস্টাল কাঠামো নষ্ট হয়ে যায়।
pn জাংশন তৈরিতে নিম্নের দুটি পদ্ধতি যেমন
১. পরিপক্ক জাংশন (Grown junction type)
২. গলিত জাংশন ( Fused junction type)
পরিপক্ক জাংশন টাইপ
প্রথমে একটি গলিত ধাতু থেকে পঞ্চযোজী পরমাণু বিশিষ্ট একটি n টাইপ ক্রিস্টাল তৈরি করা হয়। সাময়িক ভাবে এই তৈরি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয় এবং অতঃপর এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ত্রিযোজি পরমানু যুক্ত করা হয়। অবশিষ্ট অংশে p টাইপ এভাবে তৈরি করা হয়।
গলিত জাংশন টাইপ
n টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উপর একটি পাতলা পর্দা স্থাপন করে তার উপর ইন্ডিয়ামের অতি নগ্ন পরিমান তাপ দিয়ে রাখা হয়। কিছুক্ষণ তাপ দিলে জার্মেনিয়ামের উপরে তলে ইন্ডিয়াম যুক্ত হয়ে যাবে এবং উপরিতলের ঠিক নিচে সৃষ্টি হবে p টাইপ সেমিকন্ডাক্টর। এই p টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ও পূর্বেকার মুল n টাইপ সেমিকন্ডাক্টর মিলে তৈরি হয় pn জাংশন।
যে তলটি একটি p-টাইপ ও একটি n- টাইপ অঞ্চলকে আলাদা করে রাখে তাকে pn জাংশন বলে।
জংশনের মধ্যে যে তিনটি ঘটনা ঘটে-
• p টাইপ ও n টাইপ এর মাঝখানে একটা পাতলা পর্দা তৈরি হয় একে হ্রাসকরণ স্তর (depreciation layer) বলে।
• জাংশন বরাবর একটি বিভব বাধা (potential barrier) তৈরি হয় যার মান জার্মেনিয়ামের জন্য 0.3 ভোল্ট ও সিলিকনের জন্য 0.7 ভোল্ট।
• হ্রাসকরণ স্তরের উপস্থিতিতে জাংশন বৃদ্ধি পায়।
![]() |
চিত্র: pn জাংশন |
আরো পড়ুন: সেমিকন্ডাক্টর কি? এর প্রকারভেদ|